তিলকের সাহায্যে সর্বজন বশীকরণ – ২ / Everyone Vashikaran using Tilak – 2

এই ব্লগে আমি প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো বিষয়ে নিবন্ধ্ লিখছি তা সে জ্যোতিষ বা তন্ত্র বা আরো অনেক ভবিষ্যৎ দর্শন সম্বন্ধীয়। আমার তথ্যের উপর ভিত্তি করে যারা কোনো মন্ত্র জপ্ বা যন্ত্রম তৈরী করবেন , তাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে , যে কোনো মন্ত্র বা তন্ত্রের ফলাফলের জন্য আমি বা আমার এই সাধু প্রয়াসটি অর্থাৎ আমার এই ব্লগটির  কোনো ভাবেই দায়দায়িত্ত্ব থাকবেনা।  কারণ যিনি এই মন্ত্র বা তন্ত্রগুলির অভ্যাস করবেন তার দ্বারা কৃত কর্মের ত্রুটিবিচ্যুতির ফলে কোনো অসুবিধা বা অসাফল্য হতেই পারে। তার দায়ভার আমার বা আমার এই ব্লগটির থাকবে না। মূলত এটি একটি তথ্য ও শিক্ষা মূলক এবং সর্বোপরি সেবা মূলক ব্লগ হিসাবেই সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।

আজ এই নিবন্ধে, আমি কপালে তিলকের সাহায্যে কি করে সর্বজন বশীকরণ করা যায়, সেই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছি।  তন্ত্র শাস্ত্রের গভীর ও গহীন বিষয়ে তথ্য আলোচনা ও খুব ভালোভাবে শেখার জন্যে  এই ওয়েব ব্লগটি আমি লিখে যাচ্ছি, যাতে করে বিনামূল্যে খুব ভালোভাবে আগ্রহী পাঠক বন্ধুগন তন্ত্রশাস্ত্র সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পারেন। সারা বিশ্বে বাংলায় এইরকম দ্বিতীয় ব্লগ আর নেই। তবে মনে রাখতে হবে, গুরুমুখী বিদ্যা হওয়ার দরুন এই শাস্ত্র অতীব জটিল ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে অতীব দুর্লভ।


এই মন্ত্রটির সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হবে যে, এই মন্ত্রটি অতীব প্রাচীন একটি মন্ত্র, যা কিনা প্রাচীন কাল থেকেই কামাখ্যা ও অন্যান্য শক্তিপীঠে প্রচলিত ছিল।  সাত ভাবে এই মন্ত্রটির সাহায্যে তিলকের মাধ্যমে বশীকরণ করা হয়ে থাকে।  এটি আমি আমার পরম পূজনীয় মহাতান্ত্রিক গুরু মহারাজের থেকে লাভ করেছিলাম, তাঁর স্নেহছায়ায় ঠিক যে রকম ভাবে আমি এই অতীব শক্তিশালী মন্ত্রটি আয়ত্ব করেছি, ঠিক সেই ভাবেই আমি তাকে আমার এই নিবন্ধে উপস্থাপিত করছি।

প্রথমে এই মন্ত্রটি যিনি জপ্ করবেন, তাকে এই মন্ত্রটি ১০,০০০ বার জপ্ করে সিদ্ধ হয়ে নিতে হবে। সকালে ৬টা থেকে ১০টার মধ্যে স্নান ধ্যান করে নিত্য পূজা সমাপনান্তে, ধুপ কাঠি ও প্রদীপ জ্বেলে শুদ্ধ বস্ত্রে শুদ্ধাসনে বসে গুরু স্মরণ ও শ্রী শ্রী গনেশজির ধ্যানের পর একাসনে ১০,০০০ বার মন্ত্রটি জপ্ করে মন্ত্রসিদ্ধি করতে হবেই। সেদিন অবশ্যই ফলমুল ও দুধ খেয়ে সারাদিন ও রাত্রি কাটাতে হবে। পূর্ব মুখে বসে জপ্ করতে হবে।

মন্ত্র জপের ঠিক আগে বাণী দেবীর পূজা করতে হবে।  যদি না সম্ভব হয়, তবে শ্রী গুরুর উদ্যেশ্যে ক্ষমা চেয়ে নেবেন।  হলুদ বস্ত্র পরে হলুদ বর্ণের আসনে বসবেন, চান্দ্র মাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথি এই কর্মের পক্ষে অতীব আদর্শ। স্বস্তিকাসনে বসে মন্ত্রটি জপ্ করবেন।  না পারলে সিদ্ধাসনে বসে জপ্ করবেন।  যথা নিয়মে মন্ত্রটি জপ্ করাই উচিত, তবে না পারলে স্বীয় শ্রী গুরুদেব মহারাজ কে স্মরণ করে মন্ত্রটি সাধক জপ্ করবেন। যদিও আমি জপের প্রাক্কালে করণীয় প্রয়োগটি এখানে বর্ণনা করছি।

[ প্রয়োগ : ” ওঁ অস্য শ্রীবামদেব মন্ত্রস্য সন্মোহন ঋষয়ঃ গায়ত্রী ছন্দহঃ শ্রী কামদেব দেবতা (নাম ) বশ্যঅর্থে  জপে বিনিয়োগঃ।
নামের জায়গায় যাকে বশ্য করতে চান, তার নাম বলবেন।  এরপর কামদেবের নাম নিয়ে অঙ্গন্যাস ও কারন্যাস করে নিতে হবে।
এরপরে কামদেবের ধ্যান করবেন ও এই কর্মে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করবেন।]

২য় বশীকরণ প্রয়োগ :  কুমকুম , টগড়, কুড় , হরিতাল, একত্রে পিষে নিয়ে এবং তার সঙ্গে অনামিকা আঙুলের রক্ত মিশিয়ে নিচে লেখা মন্ত্রের দ্বারা ৭বার অভিমন্ত্রিত করে নিয়ে কপালে তিলক ধারণ করলে সকল কে বশীভূত করা যায়।

মন্ত্র : ” ওঁ  রক্তচামুন্ডে , অমুকং মে বশমানয় স্বাহা।ওঁ হ্রীং হ্রীং হ্রীং ফট্ ।” 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *