নিম্নলিখিত বিধির দ্বারা সহদেবীর চারাগাছ প্রাপ্ত করে এর লাভ নেওয়া যেতে পারে। এর জন্য শনিবার বিকালে আমন্ত্রণ দিয়ে আসতে হবে। পরের দিন সকালে রবিপূজ্য যোগে মন্ত্রটি পড়ে জল ঢালুন,তারপর মন্ত্রটি পড়ে সহদেবী গাছটিকে চারা সমেত উপরে আনুন। বাড়িতে এসে এটিকে দেব প্রতিমার মত পঞ্চামৃত স্নান করান। শুদ্ধ আসনে বসে ধুপ-দীপ ইত্যাদি জ্বালিয়ে পূজা করে নিম্নলিখিত মন্ত্রটি ২১ বার জপ করে চারাগাছটির স্তুতি করুন।
সকালে চারাগাছটির সামনে যাওয়া থেকে পূজা পর্যন্ত সাধককে মৌন থাকতে হবে। যতটা সম্ভব একাকী থাকার চেষ্টা করুন,যাতে অন্যের উপস্থিতিতে ধ্যান ভঙ্গ না হয়। তার সঙ্গে লোকের অশুভ দৃষ্টিতে সাধনার ভঙ্গ হয়। অস্তু মন্ত্র জপের পরে প্রয়োজন অনুযায়ী চারাগাছটির ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারটি তান্ত্রিক কাজের জন্য বা ঔষধি কাজের জন্য হতে পারে। রবিপুজ্য যোগে প্রাপ্ত চারাগাছ বাস্তবে চমৎকারী প্রমাণিত হয়েছে।
ওঁ নমো রূপবতী সর্বপ্রতেতি শ্রী সর্বরঞ্জিনী সর্বলোক বশীকরণী সর্বসুখ রঞ্জনী মহামাইল ঘোল থী কুরু কুরু স্বাহা।’
তান্ত্রিক নিয়মে প্রাপ্ত করা ঔষধি অনেক দিব্য গুন দ্বারা সম্পন্ন হয়। প্রয়োগের ভেদ অনুযায়ী তার থেকে অনেক লাভ প্রাপ্ত করা যায়। এরকম মন্ত্রঅভিষিক্ত চারাগাছ অর্থ-সম্পত্তির প্রাপ্ত করতে সাহায্য করে। কোনও শুভ মুর্হূর্তে এই চারাগাছের চমৎকারী গুনের অনুভব করা যায়।
সহদেবী চারাগাছ অথবা শিকড়কে লাল কাপড়ে মুড়ে সিন্দুক,খাদ্য ভাণ্ডারে,সোনার বাক্স অথবা অন্য কোনও সম্পত্তির সাথে রাখলে তাতে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে।
তন্ত্রসিদ্ধ দ্বারা সহদেবী চারাগাছটির সম্পূর্ণ অংশ শুকিয়ে নিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এটিকে গাওয়া ঘি-এর সাথে মাসিক ধৰ্ম শুরু হবার পাঁচ দিন আগে থেকে মাসিক ধৰ্ম শুরু পর্যন্ত নিয়মিত সেবন করলে স্ত্রী গর্ভবতী হয়ে যাবে।
যদি কোনও স্ত্রী প্রসব যন্ত্রনা থেকে কষ্ট পাচ্ছেন তাহলে তান্ত্রিক নিয়মে সহদেবীর শিকড় পিষে যোনিতে লেপন করলে অথবা শিকড়টিকে লাল সুতার সাথে কোমরে ধারণ করলে প্রসব যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শিশুদের গলায় সহদেবীর শিকড় তাবিজ বানিয়ে ধারণ করালে গলার ব্যধি (টনসিল) রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তন্ত্র সিদ্ধ সহদেবীর শিকড়কে পিষে নিয়ে মাথায় লাগালে মানব প্রভাবকে বৃদ্ধি করে ও বাক্তি সামাজিক ভাবে মান-সম্মান পেয়ে থাকে। মন্ত্রযুক্ত সহদেবীর তিলকে অব্যর্থ বশীকরণ হয়। এটি আমার নিজের অনুভিত প্রয়োগ।
তান্ত্রিক বিধি-বিধান দ্বারা নেওয়া বনস্পতি সাক্ষাৎ দেবী সমান হয়ে থাকে। এর নিত্য দর্শন ও পূজা করা হলে এটি প্রত্যেক কাজে সহযোগী ও সফলতা প্রদান করে থাকে।