ধনতেরাসে নিজের সামর্থ অনুযায়ী কোনও স্বর্ণকারকে দিয়ে রুপোর পাতকে শ্রীং আকারে কাটিয়ে নিন, (এটি যে কোনও মাপের হতে পারে বা যতটা আপনার সামর্থ হবে) দেওয়ালির রাত্রেপুজোর মাঝখানে এটিকে শুদ্ধ করে একটি-একটি করে নাগকেশর নিয়ে শ্রীং আকারে পাতটিতে আটকাতে থাকুন ও মা লক্ষ্মীর কোনও মন্ত্র মনে-মনে পাঠ করতে থাকুন৷ যখন পাতটি নাগকেশরে সম্পূর্ণ ঢেকে যাবে তখন এটির পুজো দেওয়ালির পুজোর সাথেই করতে থাকুন৷ সকালে স্নান করে শ্রীং টিকে কোনও লাল ও হলুদ বস্ত্রতে মুড়ে অর্থ রাখার স্থানে রেখে দিন৷ এই যন্ত্রমটি আপনাকে সারা জীবন বিপদ থেকে রক্ষা করবে৷
কোনও শুক্লপক্ষের প্রথম শনিবার ১০টি বাদাম নিয়ে হনুমানজির মন্দিরে গিয়ে সেখানে বাদামগুলি রেখে দিন৷ পুজোপাঠ করে ফেরত আসার সময় পাঁচটি বাদাম মন্দিরেই রেখে আসুন ও পাঁচটি বাদাম বাড়িতে এনে কোনও লাল কাপড়ে মুড়ে টাকাপয়াসা রাখার স্থানে রেখে দিন৷
দেওয়ালি পুজোর সাথে একটি কাঠের কৌটো, অল্প পরিমাণে সিঁদুর ও অভিমন্ত্রিত তিনটি গোমতীচক্রপুজো করুন৷ সকালে স্নানের পর কাঠের কৌটোতে সিন্দুরের প্রলেপ দিন৷ তার উপর গোমতী চক্র রেখে সিঁদুর দিয়ে সম্পূর্ণ কৌটোটি ভরে দিন ও কৌটোটি কোনও লাল ও হলুদ কাপড়ে মুড়ে অর্থ রাখবার স্থানে রেখে দিন৷
বাড়িতে রাখার জন্য সিদ্ধ শ্রীযন্ত্রম প্রাপ্ত করুন৷ এতে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদের জন্য কোনও শুক্রবারে শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির অথবা কোনও মা লক্ষ্মীর মন্দিরে সেই যন্ত্রমটির সাথে ১১ বা ২১টি শ্রী লক্ষ্মী সহস্ত্রনাম বইটি নিয়ে যান৷ যন্ত্রমটিকে মা লক্ষ্মীর চরণে রেখে তার সামনে মন্দিরেই বসে একবার শ্রী লক্ষ্মী সহস্ত্রনাম পাঠ করুন৷ তারপর একটি বই ও যন্ত্রমটি ফেরত আনুন৷ বাকি বইগুলি সেখানেই রেখে আসুন৷ যন্ত্রমটি নিজের পুজোর স্থানে লাল কাপড়ে রেখে দিন৷ কিছুদিন পর স্পষ্টত আপনি পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন৷